লিডাররা সবসময় একটা লক্ষ নির্ধারণ করে এবং তাতে চলার চেষ্টা করে কিন্তু প্রয়াসই তারা সঠিক লক্ষ সেট করতে ব্যর্থ হয়। তার কিছু অন্তর্নিহিত কারণ থাকে। আজ আমরা সঠিক ভাবে লক্ষ প্রতিস্থাপন করার কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করবো।
1) এচিভমেন্ট - এর অর্থ হলো আপনি কি ধরণের ফলাফল পাবেন যখন আপনার লক্ষ্যটি পূরণের হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, আপনি
৩মাসের মধ্যে একটি ল্যাপটপ নিতে চান, ২বছরের মধ্যেই একটা ন্যাশনাল ট্রিপে যেতে চান
বা রিটায়ারমেন্ট এর সময় আপনার যেন একটা ভালো ব্যাঙ্ক ব্যালান্স থাকে। এই সব হল এচিভমেন্ট
গোল।
2) অ্যাকশন - এটির অর্থ হল আপনার ল এচিভমেন্ট পূরণ করতে আপনি যে পদ্ধক্ষেপ গুলি নেবেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, আপনার লক্ষ্য পূরণের জন্য আপনি কোনো পরামর্শ দাতার সাহায্য নিতে পারেন বা নিজের কর্ম কৌশলকে আরো উন্নততর করার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সাহতে যুক্ত হতে পারেন ইত্যাদি।
3) লেয়ার্ড - অগ্রাধিকার ও অসুবিধা অনুসারে
নিজের লক্ষ গুলিকে বিভিন্ন স্তরে প্রতিস্থাপন করা।
4) কর্মের গতি -
ক্রমাগত নিজের
কর্মের গতি সামঞ্জস্য করে নিজের লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করা। যেমন বিভিন্ন ব্যাক্তিগত
কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গতি সৃষ্টি করা যায়।
5) সীমা(বাউন্ডারি) - একটি
সঠিক সীমানা(বাউন্ডারি) নির্দিষ্ট করা। যেমন - প্রতি রাতে 10 টার আগে ঘুমাতে যাবেন,
প্রতি মাসেএকটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ ঠিক করুন যা আপনি ব্যায় করতে পারবেন। এগুলি আপনার
অগ্রাধিকারগুলিকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করে।
6) বর্জন - কিছু জিনিস যা আপনি বর্জন করতে চাইবেন যা আপনার লক্ষ্য পূরণের বাধা দিতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ - মোবাইল বর্জন করবেন যখন কোনো মিটিং এ থাকবেন।
উপরিউক্ত
পয়েন্ট গুলো একটি সঠিক লক্ষ্য স্থির করতে সাহায্য করবে বলে আমার মনে হয়।
0 Comments